লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহাবুবা রহমানের বিরুদ্ধে পোশাক নিয়ে কটুক্তি, অসদাচরণ, দূর্ব্যবহার ও সেবার নামে হয়রানীর অভিযোগ তুলেছেন এস. তাবাসসুম রায়হান মুস্তাযীর তামান্না নামে এক কলেজ প্রভাষক।
রোববার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার কাশিরাম নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহাবুবা রহমানের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তোলেন কাকিনা উত্তর বাংলা কলেজের ইংরেজী বিভাগের ওই প্রভাষক।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবী করেন, তার মা বেগম আমেনা শিরিন মুসতাযীরের ভোটার আইডি সংশোধন করতে গত ১০ নভেম্বর কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে গেলে আমার ওভার কোটের বোতাম খোলা কেন এমন আপত্তিকর মন্তব্য করেন। এতে ওই কর্মকর্তা বাংলাদেশ সংবিধানের আর্টিকেল ৩৯ এর অবমাননা ও আমার সম্মানহানী করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রভাষক তামান্না আরও অভিযোগ করেন, ওই নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে আমি আমার মাসহ বিভিন্ন সময় অনেক সেবা গ্রহীতা হয়রানীর শিকার হয়েছেন। এছাড়া তিনি প্রায় সময় সেবাগ্রহীতাদের সাথে অসদাচরণ, দূর্ব্যবহার ও সেবার নামে হয়রানী করে থাকেন।
এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার সাথে দেখা করে মৌখিক অভিযোগ করা হলেও এখন পর্যন্ত কোন প্রতিকার পাইনি।
সংবাদ সম্মেলনে ওই নির্বাচন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তার শুভদৃষ্টি কামনা করেন এস. তাবাসসুম রায়হান মুস্তাযীর তামান্না।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহাবুবা রহমান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওই কলেজ প্রভাষকের সাথে আমার কোন ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব নেই। তার মায়ের আইডি কার্ড সংশোধন করেও দিয়েছি। কেন আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তা আমার বোধগম্য নয়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।